টেক্সটাইল ইঞ্জিনিযারিং কলেজ, জোরারগঞ্জ, চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচিন ও ঐতিহ্যমন্ডিত। তদানিন্তন ব্রিটিশ ভারতের স্বদেশী (স্বরাজ) আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯১১ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে তদানিন্তন বেঙ্গল ৪০টি ভ্রাম্যমান প্রকৃতির ৪০ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন হেত মুক্তি ও দেশ বিভপাগের পর বর্তমান বাংলাদেশ অংশে পড়ে ৩৩টি প্রতিষ্ঠান সময়ের পরিক্রমায় ও বাস্তবতার প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানগুলি আস্তে আস্তে স্থায়ী রূপ লাভ করে। পাশা-পাশি জাতীয় চহিদার প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানগুলির আপগ্রেডেশন হয়। যার একটি হল বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়। এরই ধারাবাহিকতার ফল হল বর্তমান টেক্সটাইল ইঞ্জি্নিয়ারিং কলেজ, জোরারগঞ্জ, মিরসরাই চট্টগ্রাম। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬০ সালে ভ্রাম্যমান প্রকৃতিহতে ডিস্টিক উইভিং স্কুল হিসেবে বর্তমান অবস্থানে স্থায়ী রূপ লাভ করে। পরবর্তীতে ১৯৮০ ডিষ্টিক উইভিং স্কুলে (এস এস সি এর পর ২ বছর মেয়াদী) সার্টিফিকেট্ ইন টেক্সটাইল কোর্স প্রবর্তনের মা্ধ্যমে প্রতিস্ঠানটি ডিষ্টিক টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট এ উন্নিত করা হয়। বিকাশমান বস্ত্র খাতে মধ্যম মানের বস্ত্র প্রযুক্তিবিদএর চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে ১৯৯৪ সালে টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট এ রূপান্তর করে ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স প্রবর্তন করা হয়।
টেক্সটাইল সেক্টর ও সাব সেক্টর সমূহে ক্রম বর্ধমান উচ্চ শিক্ষিত বস্ত্র প্রযুক্তিবিদের চাহিদা বিবেচনায় রেখে প্রতিষ্ঠানটিতে ২০০৬-০৭শিক্ষাবর্ষ হতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে বি.এসসি ইন টেক্সটাইল ইঞিনিয়ারিং ডিগ্রী কোর্স প্রবর্তনের মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এ রূপান্তরিত করা হয়।
বর্তমানে কলেজটি ৪ (চার) বিভাগ চালু রয়েছে যেখানে আধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে ১২টি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
ল্যাব পরিচিতি
১. ক) ইয়ার্ন ম্যানুফেকচারিং ল্যাব (কটন স্পিনিং)
খ) ইয়ার্ন ম্যানুফেকচারিং ল্যাব (জুট স্পিনিং)
২. ক) ফেব্রিক ম্যানুফেকচারিং ল্যাব (উইভিং)
খ) ফেব্রিক ম্যানুফেকচারিং ল্যাব (নিটিং)
৩. ওয়েট প্রসিসিং ল্যাব
৪. (ক) এ্যাপারেল ম্যানুফেকচারিং ল্যাব (গার্মেন্টস)
(খ) এ্যাপারেল ম্যানুফেকচারিং ল্যাব (ফ্যাশন এন্ড ডিজাইন)
৫. ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং ল্যাব (ওয়ার্কশপ)
৬. কম্পিউটার ল্যাব
৭. টেষ্টিং ল্যাব
৮. ফিজিক্স ল্যাব
৯. কেমিষ্ট্রি ল্যাব
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস